সাধারণত রান্নাঘরের উপাদান হিসেবেই বেশি পরিচিত ভিনেগার। রান্নার কাজে, পরিষ্কারক হিসেবে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।
![]() |
আপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা ও অপকারিতা |
আজকাল বাজারের বিভিন্ন রকমের ভিনেগার পাওয়া যায়। আপেল সিডার ভিনেগারের ত্বকের যত্নে বেশ কার্যককরী। এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। এক ভিনেগারে রয়েছে নানান স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান।
• হাঁচি রোধ করতে পারে ভিনেগার। এর টক স্বাদ হাঁচির উদ্রেক প্রতিহত করে। হাঁচি পেলে ১ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে দেখতে পারেন।
• ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামণের কারণে অনেক সময় ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সেই ডায়রিয়া নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। কারণ এর মধ্যে তার জীবাণুধ্বংসী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
• অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শক্তির সঞ্চয় করে। এতে রয়েছে পটাসিয়াম ও বিভিন্ন রকম এনজাইম যা দুর্বলতা থেকে পরিত্রাণ দেয়। যখন কোনো ব্যায়াম বা জিম করার পর পেশীগুলোতে শক্তির প্রয়োজন পড়ে বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর যখন শক্তি চাহিদা বেড়ে যায়। শক্তি সঞ্চয়ে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন।
• পটাসিয়ামের ঘাটতির কারণে অনেকের পায়ের নিচের দিকে ব্যথা হয়। ভিনেগারে রয়েছে উচ্চ পটাসিয়াম। তাই ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, ১ চা চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• অনেক সময় সর্দির সমস্যাতে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই সমস্যা সমাধানে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুব উপকারী। এতে রয়েছে এসেটিক এসিড যা অনুজীব প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এটি সাইনাসের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করবে।
• প্রতিদিন সকালে ব্রাশ করার আগে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে গার্গল করুন। এটা দাঁতে জমে থাকা দাগ ও হলদে ভাব দূর করে সাথে মুখে জমে থাকা অনুজীব দূর করে থাকে।
এছাড়াও অ্যাপল সিডার ভিনেগারের রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা। কোলেস্টেরল কমাতে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতেও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার উপকারী। তবে যারা মারাত্মক অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন তাদের অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে এড়িয়ে চলাই ভালো।