এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
বন্ধুরা এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই সম্পর্কিত পোস্ট আমি ইতিমধ্যেই একটি করেছি। সেখানে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টটি আমরা জানবো কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করব? তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ফিল্ম মার্কেটিং কি তাহলে অবশ্যই আমার এর আগের পোস্টটি পড়ে আসবেন। তবু আমি সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করব এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। তাহলে চলুন শুরু করি..
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
আধুনিক সময়ে অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনলাইন মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সাধারণত চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করাকেই সাধারণত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন
ইতিমধ্যে অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছেন। যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা শুরু করে দিয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট নয়।
আজকের পোষ্টে শুধুমাত্র নতুনদের জন্য যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবে ভাবতেছেন।তাই আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় এই সম্পর্কিত।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে। এই জিনিসগুলোর উপরেই আপনার নির্ভর করবে এফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটিং ক্যারিয়ার। তাহলে প্রথমে জেনে নিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে আপনার কি কি লাগবে?
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে কি কি লাগে
প্রথমে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে যে জিনিস গুলো লাগবে সেগুলো হচ্ছে...
- ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট
- ফেসবুক পেজ
- ইউটিউব চ্যানেল
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে এই তিনটির যেকোনো একটি অবশ্যই থাকতে হবে। পাশাপাশি এ মাধ্যমগুলোতে আপনার প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর থাকতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে এটাই আপনার প্রথম স্টেপ।
অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো একটি প্ল্যাটফরম আপনার থাকতে হবে। হতে পারে সেটা ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেজ। পাশাপাশি গুলোতে প্রচুর পরিমানের ভিজিটর ভিউজ থাকতে হবে।
যেকোনো একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যোগ হওয়া
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য এরপর আপনাকে যেকোন একটি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে হবে। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর তাদের যে প্রোডাক্ট বা পণ্যগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে তারা আপনাকে ইউনিক একটি লিংক দিবে।
সেই লিঙ্ক গুলো আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করতে হবে।
সে ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রোডাক্ট এর কিন্তু আলাদা আলাদা একটি এফিলিয়েট লিংক থাকবে। সেই লিংক গুলো যদি আপনার সাইটে শেয়ার করেন এবং সেই লিংকগুলো থেকে কোন ভিজিটর গিয়ে যদি প্রোডাক্ট গুলো কিনে তবে আপনি সেখান থেকে রেভিনিউ পাবেন।
কোন সাইডের প্রডাক্ট সেল করতে চান তা সিলেক্ট করুন
ধরুন আমার এই ওয়েবসাইটটি টেকনোলজি রিলেটেড। এখানে আপনারা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। যদি এখন আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাই তাহলে আমাকে টেকনোলজি রিলেটেড যে প্রোগ্রামগুলো আছে তাদের সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
সুতরাং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে আপনাদেরকে এই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যেই কোম্পানির যে প্রোডাক্টটি শেয়ার করতেছেন সেটা শেয়ার করলেই যে সেল হবে এমনটা কিন্তু নয়। কখনো হবে আবার কখনো নাও হতে পারে। সেটা আপনার অডিয়েন্সদের উপর নির্ভর করবে। আপনি কোন প্রোডাক্ট গুলো কোন অডিয়েন্সকে টার্গেট করে শেয়ার করতেছেন।
কোনো প্রোডাক্ট বেছে নেওয়ার জন্য
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে একটি ইউনিক লিংক দিবে। সেই লিংক টা অবশ্যই আপনাদের নির্ধারীত রাখতে হবে এবং এই লিংকটাই আপনার সাইটে শেয়ার করতে হবে।
সুতরাং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই বুঝেশুনে মার্কেটিং করার চেষ্টা করবেন। ধরুন আপনি একটি ক্যামেরার জন্য একটি এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করলেন। এখন কোন ভিজিটর যদি আপনার ওই লিঙ্ক থেকে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি আপনার শেয়ারকৃত লিংকটির প্রোডাক্ট অর্থাৎ ক্যামেরাটি না কিনে যদি একটা স্মার্ট ফোন কিনে তাহলেও কিন্তু আপনি এর রিভিনিউ পাবেন। এ বিষয়গুলো আপনাদের লক্ষ রাখতে হবে।
এখানে কিন্তু ঠকবেন এরকম আশা করা যাবে না। আপনি যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু সেনসিটিভ হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউজ পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই স্টেপ গুলো যদি আপনারা ভালোভাবে ফলো করেন তাহলে আশা করা যায় আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রক্রিয়া
তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে অবশ্যই প্রথমে আপনার একটা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। তারপর সেই ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত করে নিতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর তাদের প্রাইভেসি পলিসি ভালো করে বুঝে নিবেন তারা কিভাবে পেমেন্ট করে কিভাবে কমিশন দিবে ইত্যাদি বিষয়গুলো জেনে নিবেন।
তারপর তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পণ্যের একটি লিংক নিবেন সে লিংক আপনাদের সাইটে বা চ্যানেলে শেয়ার করবেন। তারপর যদি সেখান থেকে আপনাদের সেল হয় তাহলে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা পাবেন তাদের কাছ থেকে।
মূলত এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হয় । যদি আপনি আজকের টিপস গুলো এবং স্টেপ গুলো ভালো ভাবে খেয়াল করেন এবং মেনে চলেন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন আশা করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে বা পোস্ট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাই। ধন্যবাদ