অনলাইন বিজ্ঞাপন |
আপনারা অনলাইন যখন কোন কিছু সার্চ করে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন তখন কিন্তু অনেক রকমের এডস দেখে থাকেন। মনে করুন আপনি মোবাইল রিলেটেড কোন কিছু সার্চ করেছেন তো দেখবেন পরবর্তীতে সব জায়গায় আপনাকে মোবাইল রিলেটেড অ্যাড গুলো দেখাতে শুরু করবে।এটা কেন হয় এবং কিভাবে হয় এ নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। এজন্য আপনাকে পুরো আর্টিকেলটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
আজকের এই পোস্টটে আমরা জানব "অনলাইন বিজ্ঞাপন কি" এবং "অনলাইন বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে"
অনলাইন বিজ্ঞাপন কি?
কোন প্রতিষ্ঠান যখন একটি পণ্য উৎপাদন করে সেটা যাই হোক না কেন, (যেমন কাপড়,টিভি,ফ্রিজ মোবাইল ইত্যাদি) সেই পণ্যটি বিক্রি করতে হলে সেটাকে আগে মানুষের সাথে পরিচয় করে দিতে হয়।
বর্তমান সময়ে এই পরিচিত করানোর জন্য সবচেয়ে সহজ, দ্রুত এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই প্রশ্নগুলোর বিজ্ঞাপন দেওয়াই হচ্ছে ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন বা অনলাইন বিজ্ঞাপন।
ব্যবসায় পণ্য বা সেবা দ্রুত বিক্রি লক্ষ্যে কিংবা ক্রেতাদের পণ্যের জ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় থাকে।
আপনার অনেকেই অনেক বার দেখে থাকবেন যে আপনারা হয়তো অ্যামাজনে ড্রেস বা মোবাইল রিলেটেড কোন কিছু সার্চ করছেন। পরবর্তীতে দেখবেন ওই পণ্যগুলো রিলেটেড অ্যাড ফেসবুকে বা ইউটিউবে বা অন্য কোন ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন। তো এইটা হয় কিভাবে?
2000 সালের দিকে অনলাইন বিজ্ঞাপন বর্তমান সময়ের মতো এতো উন্নত ছিল না। সে সময়ে একই ধরনের অ্যাড অনেক রকম মানুষকে দেখানো হতো। মানে একটি এন্ড অনেক রকম অডিয়েন্সকে টার্গেট করা হতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে পুরোটাই ভিন্ন এবং আগের থেকে অনেক উন্নত।মনে করেন আপনি অনলাইনে মোবাইল সম্পর্কে বেশি সার্চ করেন এখন কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল রিলেটেড বিজ্ঞাপন গুলোই বেশি দেখানো হবে।
এবার আপনি যদি ড্রেসেস সম্পর্কে বেশি ইন্টারেস্ট হয়ে থাকেন বা এই রিলেটেড সার্চ করে থাকেন তাহলে আপনাকে ড্রেস রিলেটেড বিজ্ঞাপনঃ গুলো দেখানো হবে বেশি। এই অনলাইন বিজ্ঞাপনের প্রক্রিয়াটা কিভাবে কাজ করে এগুলো আজকে জানার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন...
অনলাইন বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে?
অনলাইন বিজ্ঞাপন কাজ করার বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে click stream data.
ক্লিক স্ট্রিম ডাটা কি?
দেখুন এর সাথে যুক্ত একটি ট্রাম রয়েছে। যাকে আমরা কুকিজ বলে থাকি। কুকিজ হচ্ছে যখন আমরা কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি বা যখন কোন কিছু সার্চ করে থাকে তখন যেই ডাটা টা থাকে সেগুলো কিন্তু আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে সেভ হয়ে যায় এটা মূলত এক ধরনের টেক্সট ফাইল বা কুকিজ। এই কুকিজ গুলো আপনার সার্চ রেজাল্ট ট্রাক করে থাকে। এই কুকিজ গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন:
ফার্স্ট পার্টি কুকিজ(First party cookies)
ফার্স্ট পার্টি কুকিজ। ফার্স্ট পার্টি কুকিজ বলতে আপনি যখন কোন ইউআরএল(URL) বা কোনো ডোমেইন সার্চ করে কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন তখন কিন্তু ঐই ওয়েবসাইটের কুকিজ গুলো আপনার জন্য এনাবল হয়ে যায়। এটি হচ্ছে ফার্স্ট পার্টি কুকিস।
থার্ড পার্টি কুকিজ (third-party cookies)
যখন আপনি কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন তখন কিন্তু ওই ওয়েবসাইট এর ভিতরে আরো অন্য কোনো ওয়েবসাইট এর ইমেজ আপনার সামনের সো করে। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি মনে করুন আপনি অ্যামাজন ঢুকেছেন এখন অ্যামাজন এর ভিতরে অন্য কোন ওয়েবসাইট এর অ্যাড দেখতে পাচ্ছেন।
তখন কিন্তু সেই ওয়েবসাইটের কুকিস আপনার জন্য এনাবল করে দেওয়া হয়েছে। যখন আপনি আবার অন্য একটি ওয়েবসাইটে যাবেন তখন কিন্তু সেই কুকিজও আবার একটি আলাদা ওয়েবসাইটে এনাবল করে দিয়েছে আপনার জন্য। এ ধরনের কুকিজ গুলোকে থার্ড পার্টিকে কুকিজ বলা হয়।
আপনি যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন সেই ওয়েবসাইটে অন্য একটি ওয়েবসাইটের ইমেজ বা বিজ্ঞাপন শো করবে যেগুলো আপনার ডেটাকে ট্রাক করবে। এগুলোই হচ্ছে কুকিজ।
এই কুকিজের মাধ্যমেই আপনার ডেটা সনাক্ত করা হয়। আপনি যখন অ্যামাজনে ঢুকতেছেন সেখানে কোন কিছু সার্চ করতেছেন তখন কিন্তু আপনার ডাটা সেভ হচ্ছে। পড়ে আপনি যখন ফেসবুক বা অন্যান্য ওয়েবসাইটে ভিজিট করতেছেন তখন কিন্তু আপনার ওই কুকিজ বা ডাটা গুলোর মাধ্যমে ট্রাক করে ওই ওয়েবসাইটগুলো ওই রিলেটেড অ্যাড আপনার সামনে শো করে।
এখানে আরেকটা বিষয় কাজ করে সেটাকে পিক্সএল টার্গেটিং বলি।
পিক্সেল টার্গেটিং কি?
আপনি যখন অ্যামাজন বা অন্য কোন ওয়েবসাইডে কোন কিছু নিয়ে খোঁজাখুঁজি বা সার্চ করেন তখন কিন্তু সেই রিলেটেড বিজ্ঞাপন গুলো আপনাকে ফেসবুক বা অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোতে দেখানো হয়।
বেসিক্যালি ফেসবুক কিন্তু একটি এডভার্টাইজিং ওয়েবসাইট আর অ্যামাজন হচ্ছে অ্যাডভারটাইজার।
এখানে ফেইসবুক পিক্সেল ডীনোট করে দেয় অ্যামাজন জন্য। এখানে পিক্সেল মানে হচ্ছে কোন পেজে কিছু স্পেস জমা করে রাখে অ্যামাজন এর জন্য।
এখন আপনি আপনার ব্রাউজারে অ্যামাজন এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করতেছেন আবার ফেসবুকের ওয়েবসাইটও ভিজিট করতেছেন এখন এখানে অনেক রকম বিষয়ে কাজ করে। এখানে আপনার ব্রাউজার আইপি দিয়ে তারা খোঁজ করতে পারে যে আপনারই অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট ওটা এবং আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ওটা।
এর ফলে আপনি যখন কোন কিছু অ্যামাজনের সার্চ করবেন তখন সে বুঝতে পারে যে আপনি ফেসবুক একাউন্টে ব্রাউজিং করতেছেন সেটা আপনারই। এর ফলে আপনি অ্যামাজনে যে পণ্যগুলো সার্চ করছেন সেই রিলেটেড পণ্যগুলোর বিজ্ঞাপনঃ আপনার নিউজ ফিড এ শো করবে। এটাই হচ্ছে পিক্সেল টার্গেটিং।
প্রোফাইল ডাটা
প্রোফাইল ডাটা হচ্ছে ফেসবুকে আপনি যখন কোনো একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেন তখন কিন্তু তারা যাচাই করে আপনার ইন্টারেস্টেড ব্যাপার গুলো নিয়ে। মনে করুন সেখানে মুভিস লিখলেন অথবা গেমস লিখলেন। এর ফলে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনার সামনে গেমস বা মুভি রিলেটেড বিজ্ঞাপনগুলো শো করবে।
সার্চ ডেটা
সার্চ ডেটা বলতে আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করে থাকি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে।ধরুন আপনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করতেছেন men t-shirt । এখন বিভিন্ন টি-শার্ট কোম্পানি এই কিওয়ার্ড এর জন্য গুগলেকে টাকা দেয়। কারণ কেউ যদি এই কীবোর্ড লিখে সার্চ তাহলে গুগোল যেন তাদের ওয়েবসাইট বা টি শার্ট কে সবার সামনে বাস সবার আগে দেখায়।
বিভিন্ন কোম্পানির গুগোল খেয়ে তাদের এডভার্টাইজিং প্রদর্শনের জন্য গুগলকে টাকা দিয়ে থাকে। তখন গুগোল আপনার সেই ডাটাকে ট্রাক করে তাদের সেই বিজ্ঞাপন গুলো শো করে থাকে।এভাবেই মূলত কাজ করে অনলাইন বিজ্ঞাপন। এই পন্থা গুলো অবলম্বন করেই অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।