ব্লগিং কি? |
ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করে
আসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক পাঠিকা গন আশা করি ভাল আছেন সকলেই। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ব্লগিং সম্পর্কিত। যারা নতুন নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন বা শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।
তাহলে চলুন শুরুতেই জেনে নেই ব্লগিং নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আমরা কি কি বিষয় আলোচনা করব:
ব্লগিং কি
ব্লগিং কেন করবেন
কিভাবে ব্লগিং করবেন
ব্লগিং থেকে কিভাবে আয় করে
ব্লগিং কি?
ব্লগিং এর সংজ্ঞা অনেকেই অনেক ভাবে দিয়ে থাকেন। আমি বলবো ব্লগিং হচ্ছে এক ধরনের মতামত প্রকাশের অনলাইন ভিত্তিক মাধ্যম।
কোন একজন ব্যক্তি বা মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি এক্সপার্ট বা অভিজ্ঞ। তখন তিনি সেই বিষয়টি উপর তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখালেখির মাধ্যমে অন্যদের সাথে শেয়ার করে থাকেন।
অন্যভাবে যদি বলি, মনে করেন আপনি কোন একটি বিষয়ের প্রতি অভিজ্ঞ। সেটা যেকোন বিষয় হতে পারে। ধরুন আপনি ইংলিশে অভিজ্ঞ।আপনি সুন্দর ভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন ইংরেজি গ্রামাটিকেল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রয়েছে।
এখন আপনি একটি ওয়েবসাইট খুললেন।আপনার অভিজ্ঞতা থেকে সেই ওয়েবসাইটিতে লেখালেখির মাধ্যমে আপনার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলেন। লেখালেখির মাধ্যমে অন্যদের টিপস দিলেন কীভাবে তারা খুব সহজেই ইংরেজি শিখতে পারবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে ইত্যাদি ইত্যাদি। মূলত সেটাই হচ্ছে ব্লগিং। অর্থাৎ অনলাইন ভিত্তিক লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা ।
আপনি চাইলে আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়টির পাশাপাশি যে বিষয়গুলোর উপর বেসিক জ্ঞান আছে সেগুলো নিয়েও ব্লগ লিখতে পারেন। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
ব্লগিং কেন করবেন
প্রথমত আপনি যদি মনে করেন ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পাচ্ছেন। আপনার সেই মনের ভাব টি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেছেন। নিজেকে অনলাইনে জনপ্রিয় করে তুলতেছেন। সকলের কাছে নিজেকে অন্য ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
দ্বিতীয়ত ব্লগিং এখন একটি উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ব্লগার তাদের মূল পেশা হিসেবে ব্লগিংকে বেছে নিয়েছে। আবার অনেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ব্লগিং কে পার্টটাইম পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ চাকুরি করার পাশাপাশি ব্লগিং করে বাড়তি কিছু ইনকাম করে নিতেছে।
তাই এখন ব্লগিং কে শুধু শখ বলা চলে না। অনলাইন থেকে আয় এর একটি অন্যতম মাধ্যমও বলতে পারেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। ব্লগিং করলে নিজের জ্ঞান অনেক বিকশিত হবে।আপনি তখন অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেক কিছুর উপর আপনার জ্ঞান থাকবে নিজের স্কিল অনেক হাই কোয়ালিটির তে চলে যাবে।
তাই আমি মনে করি নিজে কে ভালোভাবে জানা এবং অন্যকে জানানোর পাশাপাশি নিজের আত্ম-কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য ব্লগিং করা উচিত। আশা করি বুঝাইতে পারছি।
কিভাবে ব্লগিং করবেন?
প্রথমত আপনাকে ব্লগিং করার জন্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট দুই ভাবে তৈরি করা যেতে পারে।আপনার যদি টাকা ইনভেস্ট করার সামর্থ্য থাকে তাহলে কিছু টাকা খরচ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন অথবা ফ্রী একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে WordPress.com তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করে ডোমেইন-হোস্টিং কিনে নিতে হবে।
আর যদি ফ্রি খুলতে চান তাহলে গুগলের ব্লগারে blogger.com খুলতে হবে। যেহেতু এটা ফ্রি তাই এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তবে আপনাকে আমি সাজেস্ট করবো যেহেতু আপনি নতুন ব্লগিং শুরু করবেন। তাই আপনার জন্য ব্লগারই best হবে। এখানে কোনো টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই একটি প্রফেশনাল ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন। যদি আপনার ব্লগ জনপ্রিয়তা পায় তাহলে পরবর্তীতে আপনি ডোমেইন-হোষ্টিং কিনে সম্পূর্ণ নিজের আওতায় নিতে পাববেন।
তাছাড়া এখানে ওয়েবসাইট খোলা খুবই সোজা।আপনি যদি শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজিং ভালো জানেন তাহলেই ব্লগারে খুব সহজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেতে পারবেন।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে ব্লগিং কি মোবাইল দিয়ে করা যায়। আমি বলব অবশ্যই হ্যাঁ। আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার। কারণ আমি নিজেই মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করি। এই যে আর্টিকেলটি পড়তেছেন এটি কিন্তু আমি মোবাইল দিয়েই লিখেছি।
অনেকেই বলতে পারেন আর্টিকেল নাহয় মোবাইল দিয়েই লিখলাম।কিন্তু ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো কিভাবে কাস্টমাইজ করব ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন। সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর এবং প্রমাণ আমার এই ওয়েবসাইটটি।কারন আমি এই ওয়েবসাইটটি আমার হাতের স্মার্টফোনটি দিয়েই তৈরি করেছি। এবং আমার ফোন দিয়েই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ/কাস্টমাইজ করি। কোন রকম সমস্যা ছাড়াই।
বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো কিন্তু কম্পিউটারে থেকে কম স্মার্ট না। আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটির সঠিক এবং যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে কিন্তু এই স্মার্টফোনটি দিয়েই আপনি ভাগ্য পরিবর্তন করতে পাবেন যা আপনার ধারণার বাইরে।
যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে থাকে তাহলে তো কথাই নেই।অনলাইনে আয়ের রয়েছে আপনার অনেক সম্ভাবনা যদি আপনি সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
- ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা: ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়ার ৮ টি উপায়!
- ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন? A to Z গাইডলাইন
তবে হ্যা আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পরিশ্রম এবং সময়ে বেশি দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে টাইপিং স্পিড অনেক বেশি থাকতে হবে।
যদি আপনার টাইপিং স্পিড ভালো না হয়। তাহলে আপনাকে আমি একটি টিপস দিব। বর্তমান যুগের টেকনোলজির যুগ। বিভিন্ন রকম টেকনোলজি আমাদের জীবনকে করে তুলেছে আরো সহজ।
বর্তমান যুগে সেই টেকনোলজি গুলো যদি আপনি সদ্ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাকে আশা করি পেছনে তাকাতে হবে না। শুধু আপনাকে জানতে হবে সেগুলোর ফায়দা কিভাবে তুলবেন।
যেটা বলতে চাইলাম। আপনার যদি টাইপিং স্পিড ভালো না হয়। তাহলে প্লে স্টোরে অনেক রকম বাংলা ভয়েস টাইপিং কিবোর্ড বা অ্যাপস পাবেন। সেগুলো একটা ডাউনলোড করে নিবেন ব্যাস হয়ে গেল। আপনাকে আর লিখতে হবে না। শুধু মুখে বলবেন অটোমেটিক্যালি টাইপিং হয়ে যাবে।
আর যদি বলেন কম্পিউটারেও আপনার টাইপিং স্পিড তেমন ভালো না। তাহলে সে ক্ষেত্রেও কিন্তু এই টেকনিক আপনি অবলম্বন করতে পারেন।
ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন
এখন আসি সবার মূল আগ্রহের জায়গায়। " ব্লগিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করে"। ব্লগিং থেকে আয় করার অনেক ধরনের মাধ্যম রয়েছে।তবে আপনাকে অবশ্যই আয় করার আগে আপনার ব্লগ সাইট কে জনপ্রিয় করতে হবে। যখন আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমান ভিজিটর/ট্রাফিক আসবে তখনই কেবল আপনার ভালো পরিমাণ আয় করা সম্ভব।
তার জন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে কনটেন্ট/আর্টিকেল প্রকাশ করে যেতে হবে।যখন আপনি নিয়মিতভাবে কনটেন্ট প্রকাশ করতে থাকবেন তখন আপনার ব্লগে ভিজিটর আসতে শুরু করবে।আর ভিজিটর আসতে শুরু করলে আপনি নিচের দেওয়া পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আয় শুরু করতে পারবেন।
যদিও ব্লগে আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তার ভিতরে আমি শুধু জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
Google AdSense: ব্লগিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট গুলো গুগোল এডসেন্স থেকে হাজার হাজার ডলার আয় করে নিতেছে।
আপনি যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যাবেন। তখন কিছু বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এগুলোই মূলত গুগোল অ্যাডসেন্স। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচার করার জন্য গুগলকে দিয়ে থাকে। গুগোল তখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এগুলো বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
আপনিও আপনার ব্লগ সাইটে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে পর্যন্ত পর্যাপ্ত এবং ভালো মানের কনটেন্ট বা আর্টিকেল থাকতে হবে। তাহলে আপনি গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাবেন।
বিজ্ঞাপনঃ গুগল এডসেন্স যেহেতু বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিজ্ঞাপন নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচার করে। আপনিও সেই ভাবে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি বিজ্ঞাপন নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ থাকতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রচুর পরিমানের ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকে তাহলে কোম্পানিই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয় করার অন্যতম আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এটি একটি লাভজনক এবং জনপ্রিয় মাধ্যম।
আমি আপনাদের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিস্তারিত কিছু এখানে বলতেছি না।আমার এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন? আর্টিকেলটিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে দেওয়া আছে।এই আর্টিকেলটি পড়লেই সব বুঝতে পারবেন।
নিজের পণ্য বিক্রি করে: আপনার যদি নিজের কোন কোম্পানি বা পণ্য থাকে সেগুলো আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।।
রিভিউ: যখন নতুন নতুন কোনো পণ্য দা প্রোডাক্ট বাজারে আসবে। তখন তার বৈশিষ্ট্য বা গুনাগুন রিভিউ দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ব্লগার তাদের আয়ের এর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এটিকে বেছে নিয়েছে।
বন্ধুরা এগুলো ছাড়াও কিন্তু ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আরো আয় করার আরও অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে গুলোই বেশি জনপ্রিয়।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ?
ব্লগিং করে কত টাকা যায় করা যায় এটি জানতে গেলে একটি হিসেবে করা যাক যেটি কিন্তু পুরো accurate না হলেও আসে পাশে হয়। ধরুন , আপনার website এ ডেইলি ৩০০০ ট্রাফিক আসছে। এখন বাংলা ব্লগে সিপিসি গড় ০.০৫ হয়ে থাকে ,সুতরাং আপনার যদি প্রথম শুরু করা অবস্থায় যদি ২৫ জন ভিসিট করলে একটি ক্লিক হয় তাতে প্রতিদিন আপনার ক্লিক হবে ৩০০০/২৫=১২০ টার মতো এবার মাসে ক্লিক হবে ১২০*৩০=৩৬০০ টার মতো তাহলে মাসে ইনকাম দাঁড়াবে ৩৬০০*০.০৫ =১৮০ ডলার বা ১৮০ * ৭৩ =১৩১৪০ টাকার মতো। কিন্তু আপনি ঠিক ভাবে কাজ করলে আপনার ট্রাফিক বাড়বে ও আপনি আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ইংলিশ ব্লগের ক্ষেত্রে এই পরিমান ট্রাফিকে আপনি এর প্রায় কয়েক গুন্ বেশি ডলার পাবেন।ব্লগ লেখার নিয়ম(how to write blog article)
Neat & Clean– আপনার লেখাটি হওয়া neat & clean প্রয়োজন। ধরুন আপনি কোথাও ইমেজ দিচ্ছেন কোথাও লিখছেন কোথাও font change হয়ে যাচ্ছে এগুলো করলে আপনার আর্টিকেল কখনোই ভালো হবেনা । In depth article – আপনার আর্টিকেলটি সর্বদা ডেপ্ হবে কারণ ইউসার আপনার কাছে কিছু জানতে এসেছে তাকে সঠিক তথ্য জানানো খুবই দরকারি। আপনি সব তথ্য দিয়ে লিখলে আপনার আর্টিকেলটি ইন ডেপ্ট আর্টিকেল হবে। Unique content – প্রত্যেকের নিজস্ব unique স্টাইল রয়েছে আর্টিকেল লেখার আপনি আপনার unique স্টাইল দিয়ে আর্টিকেল লিখতে না পারলে সেগুলো পড়তে ভালো লাগবেনা। Sufficient image and table – আপনার আর্টিকেল information দিতে আপনি relatable image ,info graphics, video যোগ করতে পারেন। কিন্তু সেটি যেন কখনো অন্য বিষয়ের ছবি না হয়। User Intent– আপনার ইউসার আপনার থেকে কি চাইছে আপনাকে জানতে হবে কারণ user intent পুরো না হলে আপনি আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।এবং ইউসার ও আর্টিকেলটি পড়ে কিছু জানতে পারবেনা সেইভাবে। Easy language – আর্টিকেল লেখার জন্য ভাষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে লিখতে হবে খুবই simple languageএ যাতে সবাই বুঝতে পারে আপনার লেখাটি। Proper use of Header tag – আপনাকে h1, h2, h3, h4, title এই সবগুলিকে সঠিক জায়গায় use করতে হবে নয়তো user বুঝতে পারবেনা আপনি exact কি লিখতে বা বলতে চেয়েছেন।আর্টিকেলের সঠিক ভাবে seo করা
SEO কি – আপনার website গুগল সার্চে নিয়ে আস্তে গেলে আপনার article টিকে google algorithm অনুযায়ী সেট করা খুব প্রয়োজন এটিকেই ব্লগিংয়ের ভাষায় SEO বা search engine optimization বলা হয়। সঠিক SEO techniques ব্যবহার করে google search থেকে প্রচুর organic traffic পাওয়া যায়।SEO প্রধানত দু ধরণের –
On Page SEO –
অন পেজ এসইও হলো আর্টিকলে যখন আপনি সেও করে অর্থাৎ সঠিক title,description,headingএবং সঠিক ভাবে কীওয়ার্ড ব্যাবহার করেনOff Page SEO –
অফ পেজ এসইও হলো আপনার আর্টিকেল লিংক social share করা ,backlink বানানো ,web 2.0 submission করা। ব্লগিংয়ে কম্পেটিশন থাকে সুতরাং আপনার সাইটটিকে rank এ আনতে আপনাকে SEO করা শিখতে হবে।আরো পড়ুন
আমাদের শেষ কথা
আপনি যদি ব্লগিং থেকে সত্যি আয় করতে চান। এবং ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে চান।তাহলে ব্লগিং থেকে শুরুতে আয় করার কথাটি মাথা থেকে মুছে ফেলুন।বর্তমানে ব্লগিং এর হাজার হাজার সাইট রয়েছে এবং সেখানে নিয়মিত হাজার হাজার কনটেন্ট পাবলিশ হচ্ছে।
তাই আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারকে সফলতা অর্জনের জন্য অনেক প্রতিযোগিতা করতে হবে। এবং তার জন্য লাগবে অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্য।যদি আপনার এই দুটি থাকে তাহলে আপনি ব্লগিং অবশ্যই সফল হবেন।আর আপনার যদি ধৈর্য্য না থাকে তাহলে আপনি এখানে সফল হতে পারবেন না। আশা করি কি বলতে চাইতেছি বুঝতেছেন। আপনাকে এখানে অনেক সময় দিতে হবে এখানে এবং লেগে থাকতে হবে। তাহলেই সফলতা অর্জন সম্ভব।
আশা করি আপনাদের বুঝাইতে পারছি।যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্স অবশ্যই জানাবেন। আর যদি আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।