ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করবেন |
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি ফেসবুক। যাকে আমরা টাইম ক্লিলিং মেশিন নামে চিনি। এই টাইম ক্লিন মেশিন ও বর্তমানে মানি আর্নিং মেশিনের রূপান্তর হতে পারে।এই টাইম ক্লিলিং ফেসবুক কে ব্যবহার করে আপনারা কি কি উপায়ে টাকা আয় করবেন এবং এটি বাস্তব সম্মত কিনা সেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
যে ফেসবুক আপনার জীবন থেকে সময় কে কেড়ে নিচ্ছে সেই ফেসবুক আগামীদিনের হতে পারে আপনার উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম।
ফেসবুকে সাধারণত আমরা কয়েকটি কাজ বেশি করে থাকি। প্রথমত আমরা ফেসবুকে একটি আইডি খুলি অর্থাৎ নিজের একটা প্রোফাইল খুলি। তারপর কেউ কেউ পেজ খুলি। কেউ আবার ইভেন্ট বা গোষ্ঠী বা গ্রুপ খুলি।
এই তিনটায় কাজই হচ্ছে মুখ্য।এই ৩টা কাজ সাধারণত কমবেশি সবাই করে থাকি।এই তিনটা কাজ দিয়েই অনেক কিছু করা যায়।যার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
আপনি সরাসরি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে দুই ধরনের ইনকাম করতে পারেন। একটি হচ্ছে ভিডিও মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে অ্যাড ব্রেক বা এড শো করে।
দ্বিতীয়ত আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই কিন্তু এইভাবে ইনকাম করতেছেন। তবে আপনার ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিটর থাকা লাগবে। আপনাকে বিভিন্ন কায়দা-কানুন অবলম্বন করে ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে।
প্রতিটা জিনিসের একটি নিয়ম থাকে। চর্চার মাধ্যমে সেই নিয়ম আয়ত্তে আনতে হয়।এই দুইটা ইনকাম আমরা ফেসবুক থেকে সরাসরি নিতে পারতেছি ।
ফেসবুক থেকে কিভাবে আয় করা যায়
আবার এই ফেসবুক গ্রুপ থেকে আপনি ইভেন্ট সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্য সেল করতে পারতেছেন।
ইভেন্ট সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো সেবা মানুষের মধ্যে এ অফরিয়ে দিতে পারেন। প্রচারণা চালাতে পারেন।জনসচেতনতা করতে পারেন। এই কাজ গুলো কোন কোম্পানির পক্ষ থেকে তৈরি করার দায়িত্ব নিয়ে তাদের কাছ থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
তারপর আপনি নিজের পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। আপনি আপনার পেজে বিভিন্ন স্পনসর্শিপ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন। কোন কোম্পানির সাপোর্ট নিয়ে সেই কোম্পানি সম্পর্কে মাঝে মাঝে দুই একটা কথা বলবেন কম্পানি আপনাকে স্পনসর্শিপ দিবে। তাতে আপনার ব্যাপক ইনকাম হতে থাকবে।
যেমন ধরুন সহজ একটা উদাহরণ দেই। অনেকেই হয়তো আয়মান সাদিক এর নাম শুনে থাকবেন। তার ফেসবুক পেজ 10 minutes school। সেখানে তার লাখ লাখ ফলোয়ার আছে। যার ফলে রবি তাকে স্পনসর্শিপ দিয়েছে। লাখ লাখ টাকা ইনকাম হচ্ছে তার।আপনি আয়মান সাদিক এর মত এতো সেলিব্রিটি না এত বড় না আপনি ছোট।আপনি 10,20,5 হাজারের আশা তো রাখাতেই পারেন।
ফেসবুক স্পন্সরশীপের মাধ্যমে হয় আয়
আপনি স্পন্সরশীপের এই ধরনের মানুষের সাথে আলোচনা করেন তাদের কম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন বলেন যে আমার একটি গ্রুপ আছে, আমার একটি পেজ আছে।গ্রুপের এতজন সদস্য আছে। পেজে এতজন ফলোয়ার আছে।
এই সদস্য গুলো এই ফলোয়ার গুলোই হচ্ছে আপনার কনসিউমার বা কাস্টমার। তাদেরকে ব্যবহার করি আপনি আপনার ইনকাম করে নিবেন। বিনিময়ে শুধু তাদের সেবা দিবেন। তারা কি চায় দর্শক কি চায় শুধু সেটা পূরণ করুন ব্যাছ আর কিছু লাগবে না। মানুষ তখন এমনিতেই আপনার কাছে ছুটে আসবে আপনাকে আর তোদের কাছে যাইতে হবে না।
এইযে ফেসবুক আমাকে আপনাকে বিভিন্ন রকম সেবা দিচ্ছে। আপনার আমার ডাটা বিক্রি করেই দিচ্ছে আমার আপনার ছবি বিক্রি করে কিন্তু দিচ্ছে।আমার আপনাকে বিজ্ঞাপন দেখিয়েই আয় করে নিচ্ছে।
আপনারা যে দর্শক সেই হচ্ছে consumer বা কাস্টমার তারাই হচ্ছে আপনার আয় করার মুল চালিকাশক্তি । তাদের যদি সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাদেরকে যদি আপনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে শোও করেন তারা আপনাকে স্পন্সার শীপ দিবে বাধ্য হবে। কারণ তারা আপনাকে স্পন্সারশীপ দেওয়ার জন্য বসে আছে শুধু তাদের চাওয়া গুলো পূরণ করতে হবে আপনাকে।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
তারপর আমরা যেভাবে আয় করতে পারি বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে সে সমস্ত গ্রুপে, ইভেন্টে,ফ্যান পেইজে, বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারি।
হ্যাঁ প্রথমদিকে বিজ্ঞাপন পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। আসলে শুরুতে সকল কাজ কিন্তু খুব কঠিন। এই কষ্টটা যদি একবার নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না আর। তাই শুরু টা একটু কষ্টকর হলেও আপনকে ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
এরপর আপনি রিভিউ দেয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন কম্পানির পন্যের রিসিভ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পেজে,গ্রুপে অনেক লাইক অনেক গ্রুপ মেম্বার থাকলে কম্পানি আপনাকে তাদের পন্য রিভিউ করার জন্য বলবে।
বিভিন্ন কোম্পানির প্রচারণা চালানোর জন্য 10 জন 15 দিনের জন্য বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপ ভাড়া নিয়ে থাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য। আমি চাইলে ভাড়া দিয়ে দিতে পারবেন। সেখান থেকে ভালো পয়সা ইনকাম করতে পারবেন।
আর কিভাবে ইনকাম করা যায়? এইযে পেজ তৈরি করতেছেন গ্রুপ তৈরি করতেছেন। অনেকই আছে এটা তৈরি করতে পারে না। যেমন আমার এই আর্টিকেলটি যারা পড়তেছেন তারা হয়তো ভাবতেছেন যদি আমার এরকম একটি পেজ থাকতো যার হাজার হাজার লাইক হাজার হাজার ফলোয়ার থাকতো, হাজার হাজার গ্রুপ মেম্বার থাকতো তাহলে কি না মজাই হত।
তাই বর্তমান সময়ে এটাকে পুঁজি করেও আপনি আয় করতে পারেন। আপনার যদি সেরকম লাইক ফলোয়ার পেজ বা গ্রুপ থাকে তাহলে সেগুলো বিক্রি করে অনেক আয় করতে পারবেন।
আর কিভাবে ইনকাম করা যায়??ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ব্যবসার অপারচুনিটি আসে। বিভিন্ন পার্ট টাইম বিজনেস সুযোগ আছে সেই বিজনেস কাজে লাগিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
আপনারা ফেসবুকে বিভিন্ন জবস্ নিউজ সাইট আছে সেখানে বিভিন্ন জবের ইনফরমেশন দিয়ে থাকে এই ধরনের ইনফরমেশন আপনি নেওয়ার মাধ্যমে সেই জবটা সামরিক সময়ে জন্য সেই অপরচুনিটি টা থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাইফ টাইম আনলিমিটেড আয় করতে পারেন আফিলিয়েট মারকেটিং মূলত অন্যের পণ্য বিক্রি করে দেওয়া। অর্থাৎ পণ্য আপনার না ওয়েবসাইট ও আপনার না কিছুই আপনার না আপনি তার থেকে শুধু এটা এফিলিয়েট লিংক নিবেন।
তারপর সেই লিংকটি আপনার ফেসবুক গ্রুপে, ফেসবুক পেজে শেয়ার করবেন। তারপর আপনার এফিলিয়েট লিঙ্কটা থেকে কেউ যদি সেই পণ্য কিনে তাহলে আপনি অটোমেটিক্যালি কমিশন পেতে থাকবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক বড় একটি কর্মক্ষেত্র। অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং কে তাদের একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কের না জানেন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি। কিভাবে করবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং??(বিস্তারিত)
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আয়
ফেসবুকে অনেক গ্রুপ বা পেজে ইভেন্টের মাধ্যম অনেক কনটেস্ট এর আয়োজন হয়ে থাকে। এই সমস্ত কনটেক্সটে অনেক সময় গিফট এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে অনেক সময় অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকে। এ ধরনের কন্টেক্সটে অংশগ্রহণ করে যেমন আপনি উপহার বা অর্থ অর্জন করতে পারতেছেন আবার এগুলোর কো অর্গানাইজার হয়ে যেতে পারেন আপনি। তাদের সাথে যুক্ত হয় এগুলোর আয় টাও আপনি ভাগ করে নিতে পারেন।
কারণ এটা এক ধরনের ইভেন্ট আর সেটা আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেসবুকে ম্যানেজমেন্ট করতেন। তাই এগুলো থেকে আপনি ভালো একটা ইনকাম করে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন:
আসলে অনেক ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন ইভেন্ট ফেসবুকে করতে চাই। তখন আপনি আপনার পেইজে আপনার গ্রুপে ইভেন্ট তৈরি করে দেন। দিয়ে সেই ইভেন্ট অর্গানাইজার এর মাধ্যমে আপনি অর্থ নিতে পারেন। এইভাবেও ইনকাম হতে পারে।
লিংক শর্টনার এর মাধ্যমে আয়
ফেসবুকে বিভিন্ন রিসোর্সনির্ভর গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপে মানুষ যে তথ্য খুঁজছে তার সমাধান দিয়ে লিংক শর্টনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে খুব সহজেই আয় করা যায়। ধরুন, কেউ একজন একটি ভিডিও ক্লিপ কিংবা অ্যাপ এর লিংক খুঁজতে গ্রুপে পোস্ট দিলো। আপনার কাছে যদি ওই ভিডিও বা অ্যাপ থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে অ্যাপটি কোনো একটি লিংক শর্টনার এর মাধ্যমে ঐ ভিডিও ক্লিপ কিংবা অ্যাপ এর লিংক প্রদান করলেন। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যাক্তির ও উপকার হলো আর আপনিও লিংক শর্টনার ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন। লিংক শর্টনার হিসেবে Adfly বা Ouo.io এর মত বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন।ফেসবুক ads এর মাধ্যমে আয়
আপনি যদি ফেসবুকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে ফেসবুক থেকে খুব সহজে এবং দ্রুত ভাবে আয় করতে পারবেন ফেসবুক এড ব্যবহার করার মাধ্যমে। এই মাধ্যমটি যদিও ফ্রী না তবে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে এখানে যেই টাকা ইনভেস্ট করবেন তার চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। ফেসবুক বিশাল একটি ট্রাফিক সোর্স এবং এখানে সব সময় কোটি কোটি অ্যাক্টিভ ইউজার বা ট্রাফিক থাকে। এবার ধরুন আপনার কাছে হয়তো কোন প্রোডাক্ট আছে সেটা অ্যামাজনের বা ফ্লিপকার্টের মোবাইল, টি-শার্ট, গাড়ি বা কোন গ্যাজেট হতে পারে বা কোন রিসেলিং অ্যাপের হতে পারে। আর এই সমস্ত কোম্পানির প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট লিংক আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন এবং দেখা গেল আপনার প্রোডাক্টের প্রতি অল্প দুই -এক জন লোক ইন্টারেস্ট হলো এবং কয়েকটা প্রোডাক্ট সেল হলো। আর আপনি যদি আপনার ওই প্রোডাক্ট ফেসবুক অ্যাড ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন তাহলে হয়তো এখানে অনেক প্রডাক্ট বিক্রি হওয়ার আশা থেকে যায়। তাহলে এক্ষেত্রে আপনার আয়ের পরিমাণটা ও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে অনেকাংশে। তাহলে আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন ফেসবুকে এড ঠিকভাবে যদি রান করা যায় এবং সেটা বুদ্ধি করে যদি করা যায় তাহলে আপনি যা ইনভেস্ট করবেন তার তিন থেকে চার গুণ এর বেশি আপনি সেখান থেকে পাবেন।আমাদের শেষ কথা
বর্তমান সময়ে যখন আপনি ফেসবুক দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হবে তখন ফেসবুক আপনার জন্য টাইম ক্লিন মেশিন। এবং ফেসবুক আপনার জীবনকে শেষ করে দিবে। আর আপনি যখন ফেসবুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তখন ফেসবুক হবে আপনার জন্য মানি আর্নিং মেশিন।
আমার মনে হয় আমি খুব সহজে আপনাদের কে ফেসবুক থেকে কি কি ভাবে ইনকাম করা যায় তুলে ধরেছি। এর বাইরেও কিছু ধরন আছে শুধু সময়ের সাথে সাথে কাজ করতে করতে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর আপনার মত অনেকেই আছে এই তথ্যগুলো জানলে হয়তো সুবিধা হত তাদের একরামের নিয়তে আপনি এটি শেয়ার করে দিতে পারবে।